জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল, এবং আবেগে ভরা এক বার্তায় তিনি প্রকাশ করেছেন তার কৃতজ্ঞতা। হার্ট অ্যাটাকের পর সবার সহযোগিতা, সমর্থন ও ভালোবাসায় তিনি পূর্ণ হৃদয়ে অভিভূত।
শুক্রবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে, বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তার মনের অনুভূতি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, “আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়। এই চারটি দিন আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে, সেইসঙ্গে চারপাশে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমাকে নতুন করে আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে।”
তামিম আরও জানান, ক্যারিয়ারে কখনোই এমন গভীর ভালোবাসা অনুভব করেননি। “এবার এটি অনুভব করেছি আরও তীব্রভাবে। সত্যিই আমি আপ্লুত।”
বিকেএসপিতে সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। প্রথমে কেপিজে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাঠে ফেরেন। কিন্তু ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য যখন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠার চেষ্টা করেন, তখনই তাকে ভয়াবহ হার্ট অ্যাটাক হয়। এই মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়ানো ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল এবং মোহামেডান ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিমের অবদান অপরিসীম ছিল। তামিম জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্স চালকের দক্ষতায় মহামূল্যবান কিছু সময় বাঁচানো গিয়েছিল।
তামিমের হার্ট অ্যাটাকের সময় তার ট্রেনার ডালিম সিপিআর ও মাউথ টু মাউথ রিসাসিটেশন দিয়ে তাকে জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডালিমের সঠিক পদক্ষেপ না নিলে তামিমের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো না।
তামিম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “ডালিম ভাইয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আমি বাঁচতে পেরেছি। আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।”
কেপিজে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তামিমের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন, বিশেষ করে ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের নেতৃত্বে স্টেন্ট বসানোর পর দ্রুততার সঙ্গে জটিলতা কমানো সম্ভব হয়। তামিম অভিভূত হয়ে বলেন, “এমন মানের চিকিৎসা ও সেবার অভিজ্ঞতা আমাকে পুরোপুরি বিস্মিত করেছে।”
তামিম মনে করেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই হাসপাতাল একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। “ঢাকার বাইরে এমন মানের হাসপাতাল এবং দক্ষ চিকিৎসক দল দেখে আমি অভিভূত। এটি আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে যাওয়ার বড় প্রমাণ।”
তামিম তার পোস্টে আরও জানান, অসংখ্য মানুষ তার পাশে ছিলেন এবং তাকে সাহায্য করেছেন। “ধন্যবাদের তালিকা কখনোই শেষ হবে না। অনেকেই তাদের ভালবাসা দিয়েই আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদেরকে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞতা জানাব।”
সবশেষে, তামিম তার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান এবং শুভকামনা জানান সবার জন্য। “আমার পরিবার এবং আমার জন্য দোয়া করবেন, এবং সবাইকে শান্তি ও সুখ কামনা করছি।”
বাংলাদেশ জার্নাল/এজেএইচ
%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%b9%e0%a6%93
Leave a Reply