৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগ নিশ্চিত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছেন। মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রথম দিনেই মঙ্গলবার (১৩ মে) তেলসমৃদ্ধ এই দেশটি ট্রাম্পকে অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেয়। রিয়াদে জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, খনিজ ও অন্যান্য খাতে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সৌদি আরবের এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র প্যাকেজ দিতে যাচ্ছে।

ট্রাম্প সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এর সঙ্গে বৈঠক করে বলেন, আমরা একে অপরকে খুব পছন্দ করি।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্রের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, সৌদি আরব লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহী। তবে এই চুক্তিটি এখনই নিশ্চিত করা যায়নি। ট্রাম্পের সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক, ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানসহ বেশ কিছু শীর্ষ ব্যবসায়ী।

সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেন, জ্বালানি খাত আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলেও, এখন বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ বহুগুণ বেড়েছে। সৌদি ও আমেরিকানরা যখন একসাথে কাজ করে, তখন দুর্দান্ত ফল আসে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে। এতে নিওমের মতো মেগা প্রকল্প রয়েছে, যা বেলজিয়ামের আকারের একটি আধুনিক শহর। তবে তেলের দাম কমে যাওয়ায় কিছু পরিকল্পনা পিছিয়েছে সৌদি আরব।

ট্রাম্পের এই সফরে ইসরায়েল অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকারে এই মিত্র দেশটির অবস্থান কোথায় রয়েছে। গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হতাশা ও ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের নীতিকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সূত্রমতে, ট্রাম্প সৌদি আরবকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র প্যাকেজ দিতে পারেন। যাতে উচ্চপ্রযুক্তির অস্ত্র থাকতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি ওমানে আলোচনা হলেও ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে নেতানিয়াহুর বিরোধিতার কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি এখনই সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প রিয়াদ থেকে বুধবার কাতার ও বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।


%e0%a7%ac%e0%a7%a6%e0%a7%a6-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8-%e0%a6%a1%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%ac

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *