বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের কলোনি, বনানী ও গণ্ডগ্রাম গ্রাম এলাকা থেকে ওই ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু, দুটি মোটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুর রহমান শাজাহানপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। এ ছাড়া মারধরের শিকার এক সাংবাদিক বাদী হয়ে সদর থানায় ১০ জনকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেন।
ডিবি পুলিশের ওসি রাকিব হোসেন বলেন, ‘শহরের একটি বারে জুস অর্ডার করা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আবদুল মতিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫), গণ্ডগ্রাম নতুনপাড়ার হারুনুর রশিদের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২২), একই এলাকার জিন্নাহ খানের ছেলে জিসান খান (২১), গণ্ডগ্রাম সারিয়াকান্দিপাড়ার মৃত মিলন হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (২০) ও বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলা এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে টুটুল সরকার (২০)।
এর আগে রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জেলখানা মোড়ে একটি জুস বারে দুই সাংবাদিকসহ তিন জন মারধরের শিকার হন। আহত দুই সাংবাদিক হলেন- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আসাফুদৌলা নিয়ন। তারা বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা তৌফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়েছিল।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি রাকিব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রেফতার ছয় জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা কয়েকজন জুস বারে জুসের অর্ডার করেছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা জুস বারে এসে আগে আগে জুস চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি হয়।’
ইকবাল বাহার আরও বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা রকিবুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন। বার্মিজ চাকু উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে শাজাহানপুর থানায় ডিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।’
মারধরের শিকার সাংবাদিক খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, তাদের ওপর হামলার ঘটনায় সদর থানায় সাংবাদিক আসাফুদৌলা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
%e0%a6%ac%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87
Leave a Reply