চাঁদরাতে মেহেদি আঁকার ধুম

রাত প্রায় এগারোটা। আলো ঝলমল করছে ধানমন্ডির বিপণি বিতানগুলো। জেনেটিক প্লাজা, রাপা প্লাজা, সীমান্ত সম্ভার মার্কেট ঘুরে দেখা গেল বিভিন্ন বয়সীদের মেহেদিতে হাত সাজানোর ভিড়। মেহেদি উৎসব চলছে অলিগলিতে, অনেক মার্কেটের সামনে টেবিল দিয়েই। 

সব বয়সীরাই ঈদের আনন্দে রাঙাচ্ছে হাত। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন

ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজায় মেহেদি দিয়ে দিচ্ছিলেন তানহা। জানালেন সন্ধ্যার পর থেকেই জমে উঠেছে মেহেদি উৎসব। শখের এই শিল্পী কেবল ঈদের সময়েই মেহেদি এঁকে দেন। মেহেদি দিতে এসেছিলেন মগবাজারের বাসিন্দা রুনা ইসলাম, সঙ্গে তার চার বছরের মেয়ে আনায়া। জানালেন চাঁদরাতে ঘুরে ঘুরে মেহেদি না দিলে যেন ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয় না। একই কথা জানালেন বেইলি রোডের বেইলি স্টার মার্কেটে আসা তিন বন্ধু আনিকা, রুবা ও মল্লিকা। ঈদের টুকটাক কেনাকাটা শেষে হাত ভরে মেহেদি দিয়েছেন তিন জনই। 

মেহেদি উৎসব চলছে রাজধানীর অলিগলিতে। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন

বেইলি রোড আর খিলগাঁও ঘুরেও দেখা গেল উৎসবের আমেজ। ফুটপাতেই টেবিল বিছিয়ে চলছে মেহেদি বিক্রি ও মেহেদি পরার ধুম। এতে অবশ্য পথচারীদের চলাফেরায় বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে। 

বেইলি রোডের বিভিন্ন মার্কেটেও মেহেদি পরার জন্য ভিড় দেখা গেছে। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন

শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটে ঢুকতেই বেশ লম্বা লাইন দেখা গেল মেহেদির পরার জন্য। অনেকেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে মেহেদি পরে নিচ্ছিলেন। ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার মার্কেটে মেহেদি এঁকে দিচ্ছিলেন শিফা হোসেন। তিনি জানালেন, যতক্ষণ ভিড় থাকবে, ঠিক ততক্ষণই তারা মেহেদি দেবেন। সেটা যত রাতই হোক, চাঁদরাত বলে কথা! 

চলছে মেহেদি আঁকার ধুম। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন

কেবল বিপণি বিতানই নয়, ঈদ উপলক্ষে চলা মেলাগুলোতেও মেহেদি লাগানোর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল। জয়া বিনতে রাব্বি এসেছিলেন উত্তরা থেকে। জানালেন ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় রাস্তা একেবারে ফাঁকা। তাই নিজেই গাড়ি চালিয়ে চলে এসেছেন ধানমন্ডি বেইলি রোড ঘুরতে। টুকটাক প্রসাধনী কেনাকাটা শেষ করে ঈদের বাজারও করেছেন। ফেরার সময় ভাবলেন মেহেদিটাও দিয়ে ফেলা যাক। 

শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটে চলছে মেহেদি উৎসব। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন

মেহেদি উৎসবগুলোতে ২০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে ডিজাইন। এক স্টিক ২০০ টাকা। এরপর নকশা অনুযায়ী ১৫০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে মেহেদি পরার জন্য। কেউ কেউ হাত ভরে মেহেদি লাগাচ্ছেন, কেউবা ছিমছাম নকশাতেই থাকছেন সন্তুষ্ট।   


%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%86%e0%a6%81%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a7%e0%a7%81

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *