শ্রীলঙ্কা অধিনায়ককে আউট করলেন সাইফউদ্দিন

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: শ্রীলঙ্কা ৫.১ ওভারে ৩০/৪ (নিসাঙ্কা ১১*, * , কুশল ৮, পেরেরা ০, আভিষ্কা ২, আসালাঙ্কা ৫)

বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (রিশাদ ০*, সাইফউদ্দিন ৬*, ইমন ০, তানজিদ ৪, হৃদয় ৩১, মিরাজ ১, লিটন ৭৬, জাকের ৩, শামীম ৪৮)

বাংলাদেশ চাপে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। দলীয় ৩০ রানে তাদের অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা (৫) কট বিহাইন্ড হয়েছেন। আম্পায়ার নট আউট দিলে রিভিউ নিয়ে লঙ্কান ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন উইকেটটি নেন। ৫.১ ওভারে চার উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।

পেরেরাকে খালি হাতে ফেরানোর পর আভিষ্কাকে থামালেন শরিফুল

দলের ১৯ রানে কুশল মেন্ডিস, ২১ রানে কুশল পেরেরা. ২৫ রানে আভিষ্কা ফার্নান্ডো। তিনজনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ বোলিংয়ে দারুণ শুরু করলো। দ্বিতীয় ওভারে কুশল রান আউট হন। ২.৫ ওভারে শরিফুল ইসলাম পেরেরাকে শূন্য রানে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানান। এই পেসারের পরের ওভারের প্রথম বলে আভিষ্কা ফার্নান্ডো ২ রানে শামীম হোসেনের ক্যাচ হন। ৪.১ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। 

দুর্দান্ত থ্রোয়ে কুশলকে ফেরালেন শামীম

আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কুশল মেন্ডিস এবার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। পয়েন্ট থেকে শামীম হোসেনের দুর্দান্ত থ্রোয়ে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে রান আউট হলেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার। ৫ বলে ২ চারে ৮ রান করেন কুশল। ১.৫ ওভারে ১৯ রানে ১ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।

লিটনের ফিফটিতে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের ১৭৮ রানের লক্ষ্য

লিটন দাস ফর্মে ফিরলেন। তার ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে। সাত উইকেট হারিয়েছে তারা। শামীম হোসেনের ৪৮ রানও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তার সঙ্গে লিটনের ৭৭ রানের জুটি ছিল কার্যকরী। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক ৬৯ রান যোগ করেন।

রান আউট জাকের-শামীম

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরেছিলেন শামীম হোসেন। ফিফটি থেকে তখন ২ রান দূরে তিনি। পরের বলে সিঙ্গেল নিতে চাইলেন। স্ট্রাইকিংয়ে আসার আগেই কুশল মেন্ডিস জাকের আলীকে রান আউট করেন। পরের বলে রিশাদ হোসেন বলে ব্যাট লাগানোর আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বল ব্যাটে লাগে। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে আসার আগেই কুশলের থ্রোয়ে রান আউট শামীম। পরপর দুই বলে রান আউট হলো বাংলাদেশের দুই ব্যাটার।

৭৬ রানে ফিরলেন লিটন

চোখ ধাঁধানো সব শটে লিটন দাস নিজেকে ফিরে পেলেন। ৩৯ বলে ১২তম ফিফটি করার পর তিনি থামলেন ৭৬ রান করে। ১৮.১ ওভারে মাহিশ থিকশানার বলে শর্ট থার্ডে নুয়ান থুসারার ক্যাচ হলেন তিনি। ৫০ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। দলীয় ১৫৫ রানে ৫ উইকেট পড়লো বাংলাদেশের। শামীম হোসেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৯ বলে ৭৭ রানের।

লিটনের ছক্কায় দেড়শ পার

১৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ ছাড়ালো। বিনুরা ফার্নান্ডোকে লিটন দাস ছক্কা মেরে দেড়শ পার করেন।

১৩ ইনিংস পর লিটনের ফিফটি

ব্যাটিংযে ফর্মে ছিলেন না বলে সমালোচিত হচ্ছিলেন লিটন দাস। তার অধিনায়কত্বও হয়ে ওঠে প্রশ্নবিদ্ধ। ডাম্বুলায় নিজেকে ফিরে পেলেন তিনি। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন লিটন। ১৩ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। ২০২৪ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিংসটনে আগের হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার।

১৪.৪ ওভারে মাহিশ থিকশানাকে নিজের তৃতীয় ছক্কা মেরে ১২তম পঞ্চাশ ছোঁন লিটন, একটি চারও রয়েছে।

৮২ বলে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

জেফ্রি ভ্যান্ডারসের বলে ডাবল রান নিলেন শামীম হোসেন। ১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১০০ রান।

৬৯ রানের জুটি গড়ে হৃদয়ের বিদায়, মিরাজও আউট

১২তম ওভারে বল হাতে নিয়ে থিতু হওয়া ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কে ফেরালেন বিনুরা ফার্নান্ডো। ২৫ বলে ৩১ রান করে কুশল পেরেরার ক্যাচ হয়েছেন তিনি। তাতে ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি ভেঙেছে। ১১.১ ওভারে বাংলাদেশ ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারায়। দুই বল পর বিনুরার স্লোয়ারে নুয়ান থুসারার ক্যাচ হন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিলেন তিনি। ২ বলে ১ রান তার। ১১.৪ ওভারে ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পড়লো। 

৫০ বলে বাংলাদেশের হাফ সেঞ্চুরি

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন লিটন দাস। ১৬ বল পর প্রথম বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের রান পঞ্চাশ পার হয়েছে।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩৯ রান

দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশকে ছন্দে ফেরাচ্ছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৩৯ রান। ২ উইকেট হারিয়েছে তারা। লিটন ১৬ ও হৃদয় ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।

৭ রানের মধ্যে আরেক ওপেনারের বিদায়

ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ৫ রানে। পারভেজ হোসেন ইমন বোল্ড হন ইনিংসের ষষ্ঠ বলে। দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নিলেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ৭ রানে তিনি ৫ রান করে শর্ট থার্ড ম্যানে কুশল পেরেরার দারুণ ক্যাচ হন তিনি। বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে শেষ হয় তার ৮ বলের ইনিংস।

খালি হাতে ফিরলেন ইমন

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই নুয়ান থুসারার ইয়র্কার কোনোভাবে ঠেকান পারভেজ হোসেন ইমন। লেগ বাইয়ে আসে এক রান। পঞ্চম বলে ডট দেন। পরের বল ব্যাট-পায়ের মাঝ দিয়ে ঢুকে তার স্টাম্প ভাঙে। তিন বল খেলে ডাক মারেন ইমন। ১ ওভারে ৫ রানে এক উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো

সিরিজে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ। ডাম্বুলাতে এই ম্যাচে টস হেরেছে তারা। শ্রীলঙ্কা আবারও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো।

বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন। নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে জাকের আলী, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান একাদশে। শ্রীলঙ্কা প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়ে নেমেছে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), জাকের আলী, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), দাসুন শানাকা, চামিকা করুণারত্নে, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, মাহিশ থিকশানা, নুয়ান থুসারা, বিনুরা ফার্নান্ডো।

বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচনাতেও হতাশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় না পেলে হাতছাড়া হবে আরেকটি সিরিজ। পাল্লেকেলের পর এবার ভেন্যু বদল, নতুন চ্যালেঞ্জ ডাম্বুলায়। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে রবিবার ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।

ডাম্বুলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাঙগিরি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানেই আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই মাঠে তারা টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেনি। ডাম্বুলার রাঙগিরিতে বাংলাদেশের অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটি লিটনদের জন্য সিরিজে ফেরার এবং চারিথ আসালাঙ্কাদের শ্রীলঙ্কার সিরিজ নিশ্চিতের। তবে ডাম্বুলায় টি-টোয়েন্টিতে গড় স্কোর সাধারণত বেশি হয় না—প্রায়ই দেড়শর আশপাশেই থেমে যায় দলগুলো। তবে রাতের ম্যাচে পিচ তুলনামূলকভাবে ব্যাটিংবান্ধব হয়ে থাকে। সে কারণেই আজকের ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে মাঠের কন্ডিশনের চেয়েও বড় প্রশ্ন এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিক প্রস্তুতি, সামর্থ্য নিয়ে! 

কেননা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স একেবারে যাচ্ছেতাই। ব্যাটিং, বোলিং—কোনও বিভাগ নিয়েই স্বস্তিতে নেই ক্রিকেটাররা। রবিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ বাঁচাতে চাইলে তাই ব্যাটিংয়ে ভালো করার কোনও বিকল্প নেই। ডাম্বুলার অচেনা কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল কেমন করে সেটিই দেখার। যদিও দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের এখানে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।


%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b2%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%89%e0%a6%9f

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *