চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। গত ৪ জুন পৌর কর্তৃপক্ষ তার শহরের হকপাড়ার নিজ বাড়িতে এ সংক্রান্ত নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে টানা ১০ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আফরোজা পারভীন বিগত সরকারের সহযোগী সংগঠন জেলা মহিলা যুবলীগের সভানেত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত অফিস করেননি। প্রাইভেট কারে অফিসে গেলেও কাজকর্মে তার উপস্থিতি ছিল সীমিত।
২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মনোনয়ন না পেয়ে পরবর্তীতে এক বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেন এবং কয়েক কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শেষপর্যন্ত ওই প্রার্থী পরাজিত হন।
পরে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর আফরোজা পারভীন আত্মগোপনে চলে যান এবং অফিসে আর ফেরেননি। প্রথম চার মাস তিনি চিকিৎসাজনিত ছুটি নেন এবং আংশিক বেতন পান। পরবর্তীতে ছুটি না নিয়েই অনুপস্থিত থাকায় বর্তমানে তিনি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক শারমিন আক্তার বলেন, “আফরোজা পারভীন দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। বিধি মোতাবেক বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%ab%e0%a6%b0%e0%a7%8b
Leave a Reply