আজ ৭জুন পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দঘন সকালে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচ ধাপে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই সাদা পাঞ্জাবি, টুপি ও আতরের গন্ধে ভরপুর হয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা। হাজারো মুসল্লি, তরুণ-প্রবীণ, ধনী-গরিব এক কাতারে এসে দাঁড়ান ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য।
স্নিগ্ধ আবহে প্রথম জামাত শুরু হয় সকাল ৭টায়। ইমামতি করেন খলিলুর রহমান মাদানী, মুকাব্বির ছিলেন আবদুল হাদী। তারপর পর্যায়ক্রমে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং সর্বশেষ ১০টা ৪৫ মিনিটে। প্রতিটি জামাতে ছিল বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণ।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী, তৃতীয় জামাতে মুশতাক আহমদ, চতুর্থ জামাতে মুফতি আবদুল্লাহ এবং পঞ্চম জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন। প্রতিটি জামাতে পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করেন মুকাব্বিরগণ।
ছবি: সংগৃহীত
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি এবং গাজা-ফিলিস্তিনসহ নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের সময় অনেকের চোখে জল, কেউ কেউ দু’হাত তুলে কাঁপা কণ্ঠে দোয়া করছিলেন।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছিল কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মসজিদ চত্বরে সক্রিয় ছিলেন সকাল থেকেই। ছিল সিসিটিভি নজরদারি, মেটাল ডিটেক্টর ও প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধাও।
বায়তুল মোকাররমের আশপাশের সড়কে ঈদের সকাল ছিল এক অনন্য চিত্র। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দুই গেটের পাশেই খেলনা ও খাবারে অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে বসেছিল ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে ছিল কেনাকাটার ধুম। শিশুরা নতুন পোশাকে, হাতে বেলুন আর মুখে হাসি নিয়ে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বাবার হাত ধরে। কেউ কেউ আবার সেলফি তুলছিল, গণমাধ্যমকর্মীরা ব্যাস্ত ছিল ফুটেজ ও নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সাক্ষাৎকার নেওয়াতে। অনেকে তাকিয়ে দেখছিল শহরের বৃহত্তম ঈদের দৃশ্য।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের শেষ জামাতে নামাজ পড়তে আসেন নাট্যজন আশীষ খন্দকার, তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই আমি জাতীয় মসজিতে ঈদের শেষ জামাতে নামাজ পড়তে আসি। একসঙ্গে এত মানুষের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে ভালো লাগে, মনে হয় যেন মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ আরও গভীর হয়। পরিচিত অনেকেই এখানে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে আসেন, অনকের সঙ্গে দেখা হয়, খুব ভালো লাগে’
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম
%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87-%e0%a6%88
Leave a Reply