২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৮৬ হাজার ২১২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৯ হাজার ৫২৮ জন। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস রোধ, গুজব প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সব কোচিং সেন্টার। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ২৪ জুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে—পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান, কেবল সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার, উত্তরপত্র না ভাঁজ করা, কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এমসিকিউ ও সৃজনশীল পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি না রাখা। পরীক্ষার প্রতিটি অংশে (তত্ত্বীয়, এমসিকিউ, ব্যবহারিক) আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
এছাড়া, পরীক্ষার আসন নিজ প্রতিষ্ঠানে নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবেশপত্রে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকবে, পরীক্ষার্থী কেবল সেগুলোতেই অংশ নিতে পারবে।
ঢাকা বোর্ডের বিশেষ নির্দেশনা
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সেট অনুযায়ী খোলা ও অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠানো, এবং কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নকলবিরোধী পোস্টার লাগানো।
উচ্চ পর্যায়ের তদারকি
পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। পরে তিনি সরকারি বাংলা কলেজ কেন্দ্রেও যাবেন।
স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তায় জোর
কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। শুধু এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ির ব্যবহার অনুমোদিত।
প্রশাসনের কড়া নজরদারি
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসন সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও থাকবে বাড়তি নজরদারি। পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনো তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%81-%e0%a6%8f%e0%a6%87%e0%a6%9a%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0
Leave a Reply