ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনের টানে রাজধানী ছেড়েছেন হাজারো মানুষ। এবার ঈদে ১০ দিনের লম্বা ছুটির কারণে বাড়ি যাওয়া মানুষের সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি। ফলে ঈদের ছুটিতে বদলে গেছে রাজধানীর চিরচেনা রূপ।
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার দিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি মূল সড়ক ফাঁকা। ফাঁকা সড়কের কারণে রাজধানীতে অনেকটাই নীরবতা বিরাজ করছে। যানবাহনের বিরক্তিকর শব্দ নেই, গাড়িতে ওঠানামার চাপ নেই, নেই বাসে-বাসের পাল্লাপাল্লি।
বাস টার্মিনালে ভিড় নেই। যাত্রী নাই বললেই চলে। ফাঁকা ঢাকায় যাত্রী পেতে অপেক্ষা করছেন চালকরা।
সরেজমিন মিরপুর, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, শ্যামলী, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ মৎস্য ভবন, পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় যানবাহনের উপস্থিতি অনেক কম। ৩০-৪০ মিনিট পর পর দু-একটি বাস চলতে দেখা গেছে। এমনকি রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও খুম কম। তবে গণপরিবহনে ঈদের দিন উপলক্ষে বকশিস হিসেবে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নিতে দেখা গেছে।
এদিকে, ফাঁকা ঢাকায় অপরাধী চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ প্রণীত এ ছকে প্রাধান্য পাচ্ছে ঈদগাহ মাঠ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এবং এটিএম বুথ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও অন্যান্য বস্তু তল্লাশি করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঈদগাহ প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় যাতে ভিক্ষুক বা হকার ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম বা হাইকোর্ট অভ্যন্তরে স্থাপিত সাব-কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফোর্স মোতায়েন হওয়ার আগে ইনচার্জ অফিসাররা দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ব্রিফিং করবেন। ঈদের দিন থেকে বিপণিবিতান এবং স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হবে।
%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be
Leave a Reply