মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সরকারি একটি বিল ঘিরে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, তিনি সহায়তা না করলে ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারতেন না। খবর এএফপি।
মাস্ক লিখেছেন, “আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হারতেন। রিপ্রেজেন্টেটিভস হাউস থাকত ডেমোক্র্যাটদের দখলে, আর সিনেটে অনুপাত হতো ৫১-৪৯।”
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুজনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। মাস্ক নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের বিভিন্ন সভায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের তহবিলে প্রায় ২৮০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন মাস্ক।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সরকারি ব্যয় সংকোচন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডজ) প্রতিষ্ঠা করে ট্রাম্প প্রশাসন, যার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ইলন মাস্ক।
এই দায়িত্বে আসার পর মাস্ক সরকারি খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় বৈদেশিক সহায়তা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তুকি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সরকারি ব্যয়।
এই পদক্ষেপে ট্রাম্প প্রশাসনের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। ছাঁটাই হওয়া কর্মকর্তারা আইনি পদক্ষেপ নেন, এবং দেশে-বিদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা বাড়তে থাকে। মাস্কের নিয়োগ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কংগ্রেসের অনেক সদস্য এবং রিপাবলিকান পার্টির নেতারা। এখন পর্যন্ত কংগ্রেস ডজকে পূর্ণাঙ্গ সরকারি দপ্তর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
সম্প্রতি কর হ্রাসসংক্রান্ত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। মাস্কের অভিযোগ, তার অজান্তেই বিলটি কংগ্রেসে পাঠিয়ে দেন ট্রাম্প, যা তাদের সব ব্যয় সংকোচনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে পারে।
এই ঘটনার জেরে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেন মাস্ক। ট্রাম্প তার বিদায়কে ‘স্বাগত’ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa
Leave a Reply