বার্মিংহ্যাম টেস্টে চার ইনিংসে রেকর্ড ১,৬৯২ রান হয়েছে, যা ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। আর এই রেকর্ড রানসংবলিত ম্যাচটি ৩৩৬ রানে জিতে নিয়েছে ভারত। এই জয়ের মাধ্যমে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় সফরকারীরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিলের ২৬৯, রবীন্দ্র জাদেজার ৮৯ ও যশস্বী জয়সওয়ালের ৮৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসলেও জেমি স্মিথ ও হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত লড়াইয়ে ৪০৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয়। স্মিথ অপরাজিত ১৮৪ ও ব্রুক ১৫৮ রান করেন।
১৮০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করতে নামে ভারত। এবারও সেঞ্চুরি করেন গিল—১৬১ রান। এছাড়া জাদেজার অপরাজিত ৬৯, ঋষভ পন্থের ৬৫ ও লোকেশ রাহুলের ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় রেকর্ড ৬০৮ রান।
এই বিশাল লক্ষ্যমাত্রার চাপে চতুর্থ দিনেই দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। মাত্র ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৭২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে।
পঞ্চম ও শেষ দিনে ভারতের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেঘ ও বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় দেরিতে। মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু হলে ইংল্যান্ড দ্রুত দুটি উইকেট হারায়। ৮০ রানে অলি পোপ (২৪) ও ৮৩ রানে ব্রুক (২৩) ফিরে যান।
সেখান থেকে বেন স্টোকস ও জেমি স্মিথ কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ১৫৩ রানে স্টোকস ৩৩ রানে আউট হন। এরপর স্মিথ ও ক্রিস ওকস মিলে স্কোর ১৯৯ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। এরপর ওকস ৩২ বলে ৭ রান করে আউট হন।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান স্মিথ একপ্রান্ত আগলে লড়াই করলেও ২২৬ রানে তার বিদায়ে ইংল্যান্ডের হার সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়। স্মিথ এবার করেন ৮৮ রান, ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে।
এরপর ২৪৬ রানে জশ টাং (২) ও ২৭১ রানে ব্রাইডন কার্স (৩৮) আউট হলে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৭১ রানে। ফলে ভারত পায় ৩৩৬ রানের বিশাল জয়।
বল হাতে আকাশদীপ ৯৯ রানে নেন ৬ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। এছাড়া মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর নেন ১টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে আকাশদীপ ক্যারিয়ারে প্রথমবার এক ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া সিরাজ পান মোট ৭ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২৬৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শুভমান গিল।
%e0%a7%a7%e0%a7%ac%e0%a7%af%e0%a7%a8-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%87-%e0%a7%a9%e0%a7%a9%e0%a7%ac-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8
Leave a Reply