সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুইদা শহরে সিরীয় সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব দাবি করেছে, তারা দেশটির দ্রুজ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে রক্ষা এবং ইসরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকৃত রাখতে এই হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার অন্তত চারটি হামলার শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন রয়টার্স-এর একজন প্রতিবেদক। আকাশে ড্রোনের গুঞ্জন শোনা গেছে এবং শহরের বাইরে একটি ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাংককে টেনে নিতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে তীব্র গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।
সুইদা শহর মূলত দ্রুজ অধ্যুষিত। সেখানে ইসরায়েলের এই হামলা অন্তর্বর্তীকালীন সিরীয় প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুইদা অঞ্চলে সিরীয় বাহিনী ও অস্ত্র পাঠানোয় তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ইসরায়েল তার দ্রুজ নাগরিকদের সঙ্গে গভীর ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক থেকে সিরিয়ার দ্রুজদের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাদের দাবি, ইসরায়েল চায় সীমান্তবর্তী এলাকা নিরস্ত্রীকৃত থাকুক এবং সিরীয় বাহিনী যেন দ্রুজ জনগণকে নিশানা না করে।
এর আগে মঙ্গলবার সিরিয়ার প্রভাবশালী দ্রুজ ধর্মীয় নেতা শেখ হিকমাত আল-হাজরি এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, সরকার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে সুইদা শহরে গোলাবর্ষণ করেছে। তিনি স্থানীয় যোদ্ধাদের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তবে সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা পরে এক বিবৃতিতে দাবি করেন, একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এখন বলবৎ আছে। সরকারি বাহিনী শুধু আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালাবে।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুজ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারের প্রভাব ও সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি সুইদায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87
Leave a Reply