যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার তিনি এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয় আইনি অভিযান। এসব অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই (ICE)। গত ছয় মাসে এ অভিযানে শত শত নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নথিবিহীন অভিবাসীর সংখ্যা বেশি—এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে পৃথক ডিটেনশন সেন্টার, যেখানে আটক রয়েছেন আরও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ক্যালিফোর্নিয়ায় বিপুল সংখ্যক নথিবিহীন অভিবাসী বসবাস করেন, যাদের অধিকাংশই মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলির এলাকায় তারা বসবাস করে থাকেন।
গত ৬ জুন, শুক্রবার, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরতলির প্যারামাউন্ট এলাকায় নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চালায় পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তারা প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইট-পাটকেল, বোতল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে পরদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন। কিন্তু সংঘাত আরও বেড়ে যাওয়ায় সোমবার অতিরিক্ত ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তী চার দিন ধরে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এতো উত্তেজনা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত বড় পরিসরে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি। নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে গ্রেপ্তারসংখ্যা নিশ্চিত করা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া যায়নি, যদিও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা, যিনি একজন প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক—রয়টার্সকে বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিন নাগরিকের ওপর পড়ছে। কারণ, এই দেশের অধিকাংশ মানুষই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।” সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ
%e0%a6%b2%e0%a6%b8-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%8b%e0%a6%ad
Leave a Reply