ব্রিটেনে বাংলাদেশি বহুল এলাকা হ্যামলেটস লন্ডন বরো কাউন্সিলে (এলবিসি) চলমান সুশাসনের উদ্বেগ হ্রাসে পর্যাপ্ত অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হলে সরকারের উচ্চতর হস্তক্ষেপ আসতে পারে। এরমধ্যে কমিশনার নিয়োগের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ অংশে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লুৎফুর রহমান। এখানকার সিংহভাগ কাউন্সিলরও বাংলাদেশি।
এলজিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারের তিনজন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই বার্তা এসেছে।
প্রতিবেদনে কাউন্সিলের কর্মীদের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের অভাব তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিনিধি কিম ব্রমলে-ডেরি, শোকাট লাল এবং পাম পার্কসের প্রতিবেদনে মেয়রের কার্যালয়কে তাদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে ‘বেশি অগ্রাধিকার’ না দেওয়ার জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। হাউজিং, কমিউনিটিস অ্যান্ড লোকাল গভর্নমেন্ট মন্ত্রনালয়ের লর্ডস মন্ত্রী ব্যারনাস টেলর সরাসরি প্রতিনিধিদের কাছে লেখা এক চিঠিতে তার ‘হতাশা’ ব্যক্ত করেছেন। তিনি তাদের ম্যান্ডেটের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রেখে আশা করেন যে, কাউন্সিল তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করবে।
বর্তমান সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত হস্তক্ষেপের একটি নতুন পদ্ধতি হলো প্রতিনিধি মডেল, যার লক্ষ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে উন্নতি আনা।
তবে, ব্যারনাস টেলর দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন যে, যদি কাউন্সিল আগামী মাসগুলিতে ‘অর্থপূর্ণভাবে সহযোগিতা’ করতে এবং ‘সক্রিয়ভাবে নিজস্ব উন্নতি সাধন’ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মন্ত্রীরা আরও পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করেননি।
গত বছর তখনকার সরকার টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের যাচাই বাছাই ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কারণে একটি পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল। নভেম্বরে প্রকাশিত পরবর্তী প্রতিবেদনে নেতৃত্ব, সুশাসন এবং সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, টাওয়ার হ্যামলেটসের বর্তমান অ্যাসপায়ার পার্টি প্রশাসন আগের প্রশাসনের চেয়ে ভালো এবং তা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে প্রদর্শন ও প্রমাণ করার উপর বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে। ফলে নিজের ত্রুটি সম্পর্কে প্রকাশ্যে সচেতনতার অভাব দেখা গেছে।
প্রতিনিধিরা কিছু অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি রূপান্তর ও আশ্বাস বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং একটি ধারাবাহিক উন্নতি পরিকল্পনার (সিআইপি) প্রাথমিক খসড়া। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, উন্নতির যাত্রায় সামগ্রিক রাজনৈতিক ও কর্মীদের সমর্থন এবং সম্পৃক্ততা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
প্রতিবেদনে সংগঠনের সংস্কৃতি গঠনে কাউন্সিলরদের আচরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। আরও ইতিবাচক দিক হলো, প্রতিনিধিরা টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন মনিটরিং অফিসার সুপ্রিয়া ইকবালকে তার প্রথম পূর্ণ কাউন্সিল সভায় শক্তিশালী ও স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার প্রশংসা করেছেন।
কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র স্থায়ী এবং অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং প্রতিনিধি ও মন্ত্রী উভয়ের পক্ষ থেকে অগ্রগতির স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা উন্নতি প্রক্রিয়ার জন্য কাউন্সিল জুড়ে ক্রমবর্ধমান সমর্থন পেতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও আমরা এখন পর্যন্ত ভালো এবং স্বীকৃত অগ্রগতি করেছি, তবে আমাদের বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছাতে এখনও আরও অনেক কিছু করার আছে। আমরা বাধা অপসারণ করতে এবং সরকারের সমর্থনকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলের কোনও বক্তব্য এখনেও পাওয়া যায়নি।
%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc
Leave a Reply