যুক্তরাজ্যে সমকামী সেজে অ্যাসালাইমের আবেদন বাড়ছে

যুক্তরাজ্যে সমকামী সেজে আশ্রয় প্রার্থনা করার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলে বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে দাতব্য সংস্থার সহায়তা নিয়ে সমকামিতার অভিনয় করে অ্যাসাইলাম বাগিয়ে নিচ্ছেন অনেক অসাধু ব্যক্তি। এভাবে, নিজের যৌন অভিগামিতার ভুয়া তথ্য দিয়ে অনেক বাংলাদেশিও অ্যাসাইলাম আবেদনে করছে বলে জানা গেছে।

ডেইলি মেইলের সাক্ষ্য এবং গোপন অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অসাধু একটি প্রবণতা সামনে এসেছে। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর কিছু আবেদনকারী হঠাৎ করে তাদের সমকামিতা ‘আবিষ্কার’ করছেন। সংবাদপত্রটি তা‌দের প্রতি‌বেদ‌নে এক‌টি  সুসংগঠিত নেটওয়ার্কের বর্ণনা দিয়েছে, যা অসাধু উপায়ে ব্রিটেনে থেকে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সমকামী সে‌জে আশ্রয়প্রাপ্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শেখায়।

এই অসাধু ব্যক্তিদের ফলে সত্যিকার সমকামী মানুষদের আশ্রয়প্রাপ্তির আবেদন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসব ভুয়া সমকামী পুরুষরা অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে  সাক্ষাৎকারের সময় নিজের ভাইকে প্রেমিক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

এছাড়াও, ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রকৃত আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু দাতব্য সংস্থা সমকামিতার অভিনয় পার করতে ওই ব্যক্তিদের সহায়তা করছে।

ডেইলি মেইল এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশ করলো, তখন যুক্তরাজ্যে ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে নিয়মকানুন কঠোর করতে শুরু করেছে ব্রিটেন। সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট অ্যাসাইলাম আবেদনের মাত্র দুই শতাংশ সমকামিতার ভিত্তিতে করা হয়। এই দুই শতাংশের আবার বড় একটা অংশ পাকিস্তানি, বাংলাদেশি এবং নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ভুয়া আবেদনকারীরা একদিকে যেমন আশ্রয় ব্যবস্থার অসাধু উপায়ে সুবিধা নিচ্ছেন, তেমনি তারা আসল সমকামিদের ক্ষতি করছেন। কারণ এখন থেকে কর্তৃপক্ষ সমকামিতার ভিত্তিতে আশ্রয় দেওয়ার আগে অনেক বেশি যাচাই করবে। এছাড়া, জনমনে সমকামী আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে দীর্ঘস্থায়ী সন্দেহ তৈরি হতে পারে।


%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a7%87

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *