ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সচেতন নাগরিক ও শিল্পী সমাজ। বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা ১১টা থেকে ময়মনসিংহ সচেতন নাগরিক ও শিল্পী সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে কবি শামসুল ফয়েজ, আশরাফ মীর, কথাসাহিত্যিক সালিম হাসান ও সাঈদ ইসলামসহ অন্যান্য কবি ও সাহিত্যিক বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙে দেওয়া হয়। এ সময় পাশের নির্মাণাধীন আরেকটি স্থাপনা ভাঙতে গেলে কবি ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে উচ্ছেদ অভিযান থেকে সরে যান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা জানান, ১৯৮০ সালের ২১ মে ময়মনসিংহে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের সমন্বয়ে সাহিত্য সংসদ গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে নিয়মিত পাঠচক্র বীক্ষণ আসর শুরু হয়। আগামী শুক্রবার বীক্ষণের ২ হাজার ১৪৬তম আসর হওয়ার কথা। শুরু থেকে প্রতি শুক্রবার বিরতিহীনভাবে আসরটি বসে। একটি মুক্তমঞ্চে কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কবিতা, গান, আলোচনা করে থাকেন। দেশের বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকরা এখানের মুক্তমঞ্চে সাহিত্যের আসরে কবিতা পড়েছেন, সাহিত্য আলোচনা করে গেছেন।
কবি শামীম আশরাফ বলেন, ময়মনসিংহ সংস্কৃতির নগরী। এখানে সাহিত্য পল্লী করার কথা ছিল। কিন্তা তা হয়নি। আমাদের সাহিত্য সংসদের মঞ্চে সাহিত্য চর্চার জন্য সারা দেশ থেকে মানুষ আসে। এখানে সাহিত্যের আয়োজন চলতো। কবি-সাহিত্যিকরা আলো বিলাতেন। এটা ভাঙা মানে আমাদের মন ভাঙা, আমাদের সাহিত্যের সবকিছু ভেঙে দেওয়া। সাহিত্য সংসদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া মানে, সংস্কৃতিতে ভেঙে দেওয়া।’
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌথ অভিযান চালিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন উদ্যানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সাহিত্য সংসদ মঞ্চ ও বিজয়ী পিঠা ঘরসহ পাঁচটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এগুলোর বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই। ইজারা দেওয়া হতো না। তাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলবে।’
%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a6%b9-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0
Leave a Reply