তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৩১ মে) ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল এবং চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু হোটেল বে ভিউ-তে একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের দুই কেন্দ্রেই প্রার্থীদের তৎপরতা এবং ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নির্বাচনে মোট ৭৬ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। দুই বছর মেয়াদি এই পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন এক হাজার ৮৬৪ জন গার্মেন্ট মালিক। এবারের নির্বাচনে ‘ফোরাম’ ও ‘সম্মিলিত পরিষদ’ দুটি প্যানেল পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া ‘ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে ছয় জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। অন্যদিকে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম।
ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, ‘বিজিএমইএ দীর্ঘদিন দলীয় প্রভাবে পরিচালিত হয়েছে। এবার একটি প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটারদের আগ্রহও নজরকাড়া।’
ফোরামের প্রার্থী ও যমুনা গ্রুপের পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন বলেন, ‘আমি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কামনা করছি, যাতে একটি গ্রহণযোগ্য ফলাফল নিশ্চিত হয়।’
এবারের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যাচাই-বাছাই শেষে ভোটার তালিকা থেকে ৬৩২ জন অস্তিত্বহীন ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আশাবাদী প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিজিএমইএ সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি দেশত্যাগ করেন এবং অজ্ঞাত স্থান থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান। তার অনুপস্থিতিতে ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে পোশাক খাতের অস্থিরতা সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
এবারের নির্বাচন ঘিরে বিজিএমইএ ভবনে ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ গার্মেন্ট মালিকরা প্রত্যাশা করছেন, আগের কারচুপি ও নিয়ন্ত্রিত ভোটের বিপরীতে এবার তারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারবেন।
নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বাধাহীন করতে সরকারকেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক প্রার্থী।
%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%87%e0%a6%8f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%89%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%ae
Leave a Reply