পিএসজির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে এমবাপে

তিক্তভাবে শেষ হওয়া সম্পর্কের রেশ এখনও কাটেনি। পিএসজির কাছে বকেয়া ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পারিশ্রমিক চেয়ে ফরাসি ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও উয়েফার কাছে অভিযোগ করেছেন কিলিয়ান এমবাপের আইনজীবীরা।

তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার পিএসজির কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এমবাপের আইনজীবী দেলফিন ফাহাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামার ঘোষণা দেন।

এর আগে ফরাসি লিগ (এলএফপি) পিএসজিকে খেলোয়াড়দের সকল পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, এমবাপের দাবি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন থাকায় তা এখনই গৃহীত হতে পারে না।

প্যারিসের একটি আদালতের মাধ্যমে এমবাপের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পিএসজির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জব্দ করা হোক।

ফাহাইডেন বলেন, “আমরা আজ সকালে এই পরিমাণ অর্থ অবরুদ্ধ করেছি।”

রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পিএসজির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ক্লাবটি জানিয়েছিল, তারা এই মামলা ‘উপযুক্ত আদালতে’ নিতে বাধ্য হবে এবং একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা চলবে।

এমবাপে ৭ বছর আগে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ক্লাবটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। এরপর ২০২৪ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান।

পিএসজি বলছে, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এলএফপির মধ্যস্থতার একটি প্রস্তাব এমবাপে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

এমবাপের আরেক আইনজীবী পিয়ের-ওলিভিয়ে অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই এমবাপেকে চাপে ফেলে মেয়াদ বাড়াতে বাধ্য করেছিল পিএসজি।

অন্যদিকে পিএসজি দাবি করছে, এমবাপের সঙ্গে চুক্তিটি ‘আইনি উপায়ে সংশোধিত’ হয়েছিল এবং পরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তিনি ক্লাব ছাড়েন।

এই ইস্যুতে উয়েফার একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, তাদের ভূমিকা এখানে পরোক্ষ। তবে তিনি বলেন, “ফরাসি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর যদি বকেয়া পাওনা প্রমাণিত হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাবকে তা পরিশোধ করতেই হবে। না হলে, তারা ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতিভঙ্গের ঝুঁকিতে পড়বে।”

বাংলাদেশ জার্নাল/এজেএইচ

%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%87