পাকিস্তানের হামলায় ভারতের ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস – Bangladesh Diplomat

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের শহরগুলোতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা পাঁচটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন ও একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করার দাবি করেছে। খবর জিও নিউজ।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেও পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব জেট সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।

রয়টার্সের কাছে একজন সামরিক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ধ্বংস হওয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর জেটগুলোর মধ্যে তিনটি ফ্রান্স-নির্মিত রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই ও একটি মিগ-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে।

এ ছাড়াও, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে শত্রুদের একটি পোস্ট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে এবং একটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র গোলাগুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের গুলিবর্ষণে তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত আক্রমন’ আখ্যায়িত করে কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে বুধবার (৭ মে) ভোরে পাকিস্তানে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এই পদক্ষেপকে ইসলামাবাদ ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হিসেবে অভিহিত করে এর কঠোর এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছে, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের পর থেকেই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ভারত ওই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ বরাবরই তাদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের এই সামরিক পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *