নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ০৯:২০, ১৩ মে ২০২৫
আপডেট: ০৯:২১, ১৩ মে ২০২৫

কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর ফলক
অবশেষে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত নতুন কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরকালে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
আর এ ভিত্তি স্থাপনে যে প্রস্তর উন্মুক্ত করা হবে সেখানে স্থাপক বা উন্মোচনকারীর নাম রাখা হয়নি। কারণ, ভিত্তিপ্রস্তর ফলকে নিজের নাম দিতে চাননি প্রধান উপদেষ্টা। ফলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীর নাম ছাড়াই ফলক তৈরি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ তথ্য জানালেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীণ।
১৯৩১ সালে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রথম নির্মিত হয়েছিলো কালুরঘাট রেলসেতু। এই সেতুর উপর দিয়েই প্রায় ৯৪ বছর ধরে একই সাথে রেল ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে এই সেতুর উপর দিয়ে ভারি ট্রেন চলাচলের জন্য সংস্কার করা হয়। জীর্ণ এই সেতুর পরিবর্তে একটি রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ এ অঞ্চলের মানুষের কয়েকদশকের দাবি। কিন্তু এই অঞ্চল থেকে একাধিক এমপি-মন্ত্রী সংসদে ও সংসদের বাইরে এ নিয়ে জোর দাবি তুললেও তা পূরণ হয়নি। তবে এবার এই অঞ্চলের লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের এ দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে।
রেলওয়ে জানায়, সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরীকে।
প্রকল্পের ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে বলে জানা গেছে। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে রেলওয়ে।
এর আগে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত বছরের ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%a1%e0%a6%bc
Leave a Reply