জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ভবনে তালা দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতাকর্মী এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে। গত ১০ জুলাই জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিচার প্রত্যাখ্যান করে যথাযথ বিচারের দাবিতে তারা তালা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ সময় তারা ‘প্রহসনের বিচার মানি না, মানব না’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘মাইর খাব ওপেনে, বিচার হবে গোপনে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, দুই শিক্ষক ও বাগছাস নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাখা ছাত্রদলের দুই নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রবেশে নিষিদ্ধ হওয়া দুই নেতা হলেন—রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসান এবং দর্শন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তারা হলেন—গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন সাইফ, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা মুরসালিন এবং বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমান।
একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিজুল হাকিমকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে কোনো শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠলে কারণ দর্শানোর সুযোগ ছাড়াই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়।
তবে সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচতলায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভাগের দুই শিক্ষক—বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও সহকারী প্রক্টর এবং তিনজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়।
এতে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করা হয়। একই ঘটনায় আহত হন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তিন শিক্ষার্থী— মো. ফারুক, ফেরদৌস শেখ এবং মো. ফয়সাল মুরাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম বলেন, “এ ঘটনাটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু এই নোটিশ বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। এভাবে কারো কাছে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয় না।”
%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%ad%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%b8
Leave a Reply