খুবিতে ধর্ম অবমাননাকারী ২ শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও ঐতিহাসিক ‘জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মানববন্ধন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ২১তম ব্যাচের মো. রাসেল এবং ২৩তম ব্যাচের তনয় রায়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

তাদের হাতে ‘সম্প্রতির এই বাংলায় উস্কানির ঠাঁই নাই’, ‘অপরাধীদের ক্ষমা নাই, আজীবন বহিষ্কার চাই’, ‘জিরো টলারেন্স ফর ব্লাসফেমি’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এ সময় ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তালহা বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি শহীদ মুগ্ধ ভাইয়ের রক্তে ভেজা। এখানে বসে যারা আওয়ামী লীগের দালালদের হয়ে কথা বলবে, ধর্মকে অবমাননা করবে, তাদের বিরুদ্ধে খুবির শিক্ষার্থীরা রুখে দাঁড়াবে।”

১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তমিজউদ্দীন বলেন, “এ দেশে ৯০ শতাংশ মুসলমান। এখানে ইসলাম, আল্লাহ তায়ালা এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে কটাক্ষ করার পরও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

মানববন্ধন থেকে বক্তারা তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রের প্রতি দাবি—ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি—তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; জনসাধারণের প্রতি দাবি—অভিযুক্তদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জানান, ধর্ম ও ‘জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের সিট বাতিল করা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রার অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. রাসেল তার ফেসবুক পোস্টে কুরআনের কিছু সূরার বিষয়ে আপত্তি জানান এবং আল্লাহ তায়ালাকে ‘বর্ণবাদী’ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ ও হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ, কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক স্টোরিতে ইসলামের ফরজ বিধান ‘জিহাদ’ নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, তনয় রায় রাসেলের সেই বিতর্কিত স্টোরি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। তার বিরুদ্ধেও ‘জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে পূর্বে অবমাননাকর মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে।


%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *