জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদ সোমবার (২৪ জুন) সারা দেশে তিন ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এবং মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এনবিআরে প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী সংস্কার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা চলছে। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছেন এবং তার নেতৃত্বে কার্যকর পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে তাকে অপসারণের দাবি জানান নেতারা। একইসঙ্গে তাকে রাজস্ব ভবনে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এনবিআর কর্তৃক ১৯ জুন গঠিত রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধন বিষয়ক কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনও প্রতিনিধি রাখা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতারা। এমনকি কমিটি গঠনের আগে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করায় তা অগণতান্ত্রিক বলে দাবি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান বিভিন্ন সভা ও বক্তব্যে ঐক্য পরিষদের অস্তিত্ব ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
এদিন বিকেলে আয়োজিত পৃথক এক সভায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় তারেক রিকাবদারকে সভাপতি ও সেহেলা সিদ্দিকাকে মহাসচিব করা হয়। একই সঙ্গে ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক একটি সেমিনারের প্রস্তুতিমূলক সভার জন্য কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে লিখিত আবেদন করা হলেও এনবিআর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কক্ষ বরাদ্দ না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজস্ব কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
সরকার এর আগে গত ২৬ মে ঘোষণা দিয়েছিল, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হবে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এনবিআর থেকে একটি সংশোধনী কমিটি গঠন করা হলেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি—যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%b8
Leave a Reply