আসিফকে ফেরালেন হাসান

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৯১/৭ ও আমিরাত ১৮ ওভারে ১৫৭/৭

মোস্তাফিজের দ্বিতীয় আঘাতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

হাসান মাহমুদ তার শেষ স্পেলে বল করতে নেমেও মার খান। আসিফ খান টানা চার-ছয় মারেন। অবশ্য আমিরাতি ব্যাটার একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বাংলাদেশি পেসার তার দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন একই ওভারে। ১৬.৫ ওভারে সঞ্চিৎ সাহাকে এক্সট্রা কাভারে লিটন দাসের ক্যাচ বানান হাসান। ৫ বলে ৪ রান করেন সঞ্চিৎ। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান তার দ্বিতীয় বলে মুহাম্মদ জুহাইবকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দেন বাঁহাতি পেসার। তাতে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের মনে। ১৮ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান আমিরাতের।

তানভীরের আঘাতে পঞ্চম উইকেট পেলো বাংলাদেশ

৩ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট পেলো বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে ধ্রুব পরাশর ৩ রান করে লং অনে বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন। তানভীর ইসলাম তার শেষ ওভারে নিজের প্রথম উইকেট নিলেন। ১৪.৪ ওভারে ১৩৪ রানে ৫ উইকেট হারালো আমিরাত।

আসিফের টানা তিন ছক্কার পর চতুর্থ উইকেটের পতন

তানজিম হাসান সাকিব টানা দুই ওভারে দুটি উইকেট পেলেন। মাঝে ১৩তম ওভারে মেহেদী হাসানকে প্রথম বলে চার মারার পর শেষ তিন বলে ছক্কা মারেন আসিফ খান। তাকে ২৫ রান দেওয়ার পর রাহুল চোপড়ার ক্যাচ ধরেন মেহেদী। ১১ বলে ২৮ রান ছিল এই জুটির। রাহুল ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন। ১৩.১ ওভারে ১৩১ রানে চার উইকেট হারালো আমিরাত।

ঝড় তোলা ওয়াসিমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের স্বস্তি

বাংলাদেশ বোলিংয়ে বাজে শুরুর পর দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিলেও মুহাম্মদ ওয়াসিম ও রাহুল চোপড়ার জুটিতে চাপে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই জুটিতেই একশ পার করে আমিরাত। তারপরই তাদের বিচ্ছিন্ন করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। 

১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়াসিম শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন। তখন দলের রান ১০৩। ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫৪ রান করেন অধিনায়ক। ৩২ বলে নিজের ২১তম ফিফটি করেন ওয়াসিম। রাহুলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪২ বলে ৬২ রানের।

বোলিংয়ে হতাশার শুরুর পর ২ উইকেট পেলো বাংলাদেশ

প্রথম ওভারে তানজিম হাসান সাকিব মাত্র ৫ রান দেন। পরের দুই ওভারে আমিরাত ১৯ ও ১৪ রান তোলে। ৩ ওভারে ৩৮ রানের মধ্যে অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম একাই করেন ২৭ রান। পরের ওভারে হাসান মাহমুদ ভাঙেন ৪০ রানের জুটি। 

মুহাম্মদ জোহাইব বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন। ৯ বলে ৯ রান করেন তিনি। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম উইকেট পায় সফরকারীরা। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন। দ্বিতীয় বলে জাকের আলীর ক্যাচ হন আলিশান শারাফু। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি। ৪১ রানে ২ উইকেট হারালো আমিরাত।

ইমনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ১৯১ রান

সংযুক্ত আরব আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম টসে জিতে বাংলাদেশকে ১৩০-১৪০ রানে থামানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। কিন্তু পারভেজ হোসেন ইমন তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। ৫৩ বলে ৫ চার ও ৯ ছয়ে সাজানো ১০০ রানের ইনিংসে তিনি বাংলাদেশকে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন।

বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ। পড়ে যাওয়া সাত উইকেটের মধ্যে ইমনের পর সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এছাড়া জাকের আলী ১৩ ও লিটন দাস ১১ রান করেন। প্রথম ওভারে চার ও ছয় মেরে ১০ রানের পর আর যোগ করতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম।

আমিরাতের পক্ষে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন।

সেঞ্চুরি করে আউট ইমন

১৯তম ওভারের শেষ বলে সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৫৩ বলে ৫ চার ও ৯ ছয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। পরের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার। ১৮৫ রানে পড়লো বাংলাদেশের সাত উইকেট। ৫৩ বলে ১০০ রান করে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর চতুর্থ শিকার তিনি।

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করলেন ইমন। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তামিম ইকবাল শতকের দেখা পান।

নো বলে বেঁচে গেলেন ইমন, আউট শামীম

১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মতিউল্লাহ খানের শিকার হয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তখন তার রান ৮৪। কিন্তু আমিরাত বোলারের ওভারস্টেপিংয়ে নো বল কল করায় বেঁচে যান বাংলাদেশি ওপেনার। পরের ওভারে মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর শিকার হন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৫ বলে ৬ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। 

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ ফাইন ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু মতিউল্লাহ খান ফের ওভারস্টেপ করায় নো বলে বেঁচে যান তানজিম। সৌভাগ্যক্রমে ডাক মারা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশি ব্যাটার। 

জাকেরের বিদায়ের পর রেকর্ড ছক্কা ইমনের

মুহাম্মদ জুহাইবকে ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ঝড় তোলার আভাস দেন জাকের আলী। কিন্তু পরের বলে সঞ্চিত শর্মার ক্যাচ হন বাংলাদেশি ব্যাটার। একই ওভারের পঞ্চম বলে ইনিংসে নিজের অষ্টম ছক্কা মারেন পারভেজ হোসেন ইমন, যা এক টি-টোযেন্টিতে কোনও বাংলাদেশির সর্বোচ্চ।

৫ রানে বাংলাদেশের ২ উইকেট পড়লো

হঠাৎ করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। ৫ রানের ব্যবধানে দুজন ব্যাটার ফিরে গেলেন। ৯ বলের মধ্যে তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসানকে হারালো সফরকারীরা। ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে জাওয়াদুল্লাহর শিকার হন মেহেদী। ৫ বলে ২ রান করে রাহুল চোপড়ার গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। ১১২ রানে ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।  

২০ রান করে আউট হৃদয়

দলীয় স্কোর একশ পার হওয়ার পর তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে ধ্রুব পরাশরের তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মুহাম্মদ জোহাইবের ক্যাচ হন তাওহীদ হৃদয়। আগের ওভারে টানা চার-ছয় মেরে তিনি রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দলীয় ১০৭ রানে তিনি বিদায় নিলেন। ১৫ বলে ১ চার ও ছয়ে ২০ রান করেন হৃদয়। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন মেহেদী হাসান। 

ইমন ঝড়ে ৫৮ বলে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি

পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তুলেছেন। তানজিদ হাসান তামিম প্রথম ওভারে ছয়-চার মেরে দ্রুত আউট হলেও ইমন টিকে থেকে আলো ছড়ান। লিটন দাসের সঙ্গে ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। তারপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি পঞ্চাশ পার করেছেন। নিজে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ৫৮ বলে বাংলাদেশ একশর ঘরে। দশম ওভারের চতুর্থ বলে তারা তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়।

এক ওভারে তিন ছক্কা, তারপর চার মেরে ইমনের ফিফটি

অষ্টম ওভারে সঞ্চিত শর্মাকে তিন ছয় মেরে শারজার গ্যালারি মাতালেন পারভেজ হোসেন ইমন। ওই ওভারে আসে ২২ রান। পরের ওভারে তৃতীয় বলে চার মেরে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। তার সঙ্গে ক্রিজে অন্যপ্রান্তে আছেন তাওহীদ হৃদয়।

লিটন ১১ রানে আউট, পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান ৫৫

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ লিটন দাস। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হলেন তিনি মাত্র ১১ রান করে। নিজের প্রথম বলে জাওয়াদুল্লাহ তাকে ফেরান। তার দারুণ ইয়র্কারে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্যাডে বল লাগে। স্বাগতিকদের জোরালো আপিলে মাত্র ৮ বলে শেষ হয় এক ছক্কায় সাজানো লিটনের ইনিংস। পারভেন হোসেন ইমনের সঙ্গে তার জুটি ৩৬ রানের। ৫.১ ওভারে ৪৯ রানে ২ উইকেট পড়লো বাংলাদেশের। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৫।

তানজিদের বিদায়

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিষিক্ত মতিউল্লাহ খানের বলে আউটসাইড এজ হয়ে রাহুল চোপড়ার গ্লাভসে ধরা পড়েন তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারের ৪র্থ বলে ১০ রান করে থামলেন বাংলাদেশের ওপেনার। ১.৪ ওভারে ১৩ রানে এক উইকেট নেই সফরকারীদের। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।

প্রথম ওভারে তানজিদের চার-ছয়

প্রথম ওভারে মারমুখী তানজিদ হাসান তামিম। ধ্রুব পরাশরকে চার ও ছয় মেরে ওই ওভারে ১০ রান তুলেছেন তিনি।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

তিন বছর আগে সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে দুবাইয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ অবশ্য টাইগাররা ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল। এবার পাকিস্তানে যাওয়ার আগে আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলতে নামছে লিটন দাসের দল। এই সিরিজ দিয়েই নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের যাত্রা শুরু। মূল লক্ষ্য আগামী বছরের বিশ্বকাপ। 

আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ। এর আগে অন্তত ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ হলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সেটিরই শুরুই হচ্ছে আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ৯টায় ম্যাচটি শুরু হবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। 

সংযুক্ত আরব আমিরাত (একাদশ): মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), মুহাম্মদ জোহাইব, আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া (কিপার), আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, সঞ্চিত শর্মা, মুহাম্মদ জুহাইব, মতিউল্লাহ খান, হায়দার আলী, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ।

বাংলাদেশ (একাদশ): লিটন দাস (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী (কিপার), শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান।


%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a8

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *