আকাশপথেও বাড়ি ফেরার হিড়িক

পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন নগরবাসী। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন লাখো মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর সড়ক, রেল ও নদীপথে ঈদযাত্রা বেশ স্বস্তিদায়ক হচ্ছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। একই চিত্র আকাশ পথেও। রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে ছুটছেন ঘুরমুখো মানুষ।  

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে গিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার মানুষজনের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সড়ক কিংবা নৌ পথের ঝামেলা এড়াতে যারা পূর্ব থেকে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুক করে রেখেছিলেন, তারাই ভিড় করছেন এখানে।

দেশের বৃহত্তম এই বিমানবন্দর থেকে রাজশাহী, সৈয়দপুর, সিলেট, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম রুটে আকাশপথে ফ্লাইট চলাচল করে। আজ সকালে রাজশাহী ও সৈয়দপুর, কক্সবাজার রুটে বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস বাংলার ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় কোনও আসন খালি ছিল না। দুপুর, বিকাল এবং সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানসহ ইউএস বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার এস্টার ফ্লাইট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেগুলোরও সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অর্থাৎ এ সময়ের ফ্লাইটগুলোতেও যাত্রী ভর্তি দেখা যাবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল (ছবি: প্রতিবেদক)

সিলেটগামী যাত্রী আশিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক আগেই আমি টিকিট বুক করে রেখেছি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাসে করেই বাড়ি পাঠিয়েছি। ঢাকায় কাজের জন্য আজ ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। 

রাজশাহীগামী যাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সড়কপথে বিড়ম্বনার ভয়ে বাংলাদেশ বিমানের টিকিট আগেই কিনে রেখেছি। আজ কাঙ্খিত দিনে বাড়ি ফিরছি। অনেকদিন পর বাড়ি ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিকিটের দাম একটু বেশি হলেও বিভিন্ন এয়ারলাইনসের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদের পর ফেরার টিকিটও শেষের পথে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে চারটি এয়ারলাইন্স। এগুলো হলো বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা, নভোএয়ার এবং এয়ার এস্ট্রা।

বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদে আমাদের বিভিন্ন রুটে চারটি ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে, তারপরও সব টিকিট শেষ। যাত্রী সাধারণের কথা চিন্তা করেই আমরা ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছি।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। এভসেক ও এয়ার ফোর্সের সদস্যরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করছি, কোনও সমস্যা হবে না।


%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *