লালনসংগীতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। গত ৫ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও কিডনি জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা ও ভক্তরা।
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে অবশেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে ফরিদা পারভীনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “আম্মাকে এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছেন, ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবার আগের মতো হয়ে যাবে। সবাইকে আবারও অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় না করতে।”
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, রক্তে সংক্রমণ ছিল এবং কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ায় তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছিল। এক পর্যায়ে তার চেতনা কাজ করছিল না। অবস্থার জটিলতা বিবেচনায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।
ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার সুস্থতা কামনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দোয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। অর্থসংকট যেন না হয়, সেই দিকেও সহানুভূতির নজর ছিল অনেকের।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত পরিবেশন দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক, ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার এবং ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম
%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%87%e0%a6%89-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a6%be
Leave a Reply