আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু, আঠারোতে কোহলির স্বপ্নপূরণ

২০০৮ সাল থেকে আইপিএল শুরু। ভারতের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে শুরু থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন বিরাট কোহলি। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১৮ মৌসুম ধরে একটি ক্লাবে খেলা ক্রিকেটার তিনি। কিন্তু এই ট্রফিটা কখনও জেতা হয়নি। ক্যারিয়ারের পড়ন্তবেলায় সেই আক্ষেপ ঘুচাতে পারবেন কি না, চলতি আসরের শুরু থেকে ছিল সেই আলোচনা। একে একে সব বাধা ডিঙিয়ে চতুর্থবার ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু। এবার আর আক্ষেপ নয়, ১৮ বারের চেষ্টায় আইপিএলে চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাদ পেলেন কোহলি।

মঙ্গলবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কোহলি। ১৯১ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর তার অভিব্যক্তিই যেন বোঝার চেষ্টা করছিল ক্যামেরার চোখ। শেষ ওভারে সমীকরণ যখন ২৯ রানের, তখন দ্বিতীয় বলটি জশ হ্যাজেলউড ডট দিতেই এই ডানহাতি ব্যাটার আবেগ লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন মুখে হাত রেখে। শিরোপা হাতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারতে বাকি চার বল শেষ হতেই মুখ ঢেকে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে মাথা ঠেকালেন মাটিতে। রজত পদিকারকে অনুসরণ করে একে একে সব সতীর্থরা তার দিকে দৌড়ে গেলেন। কোহলির সে কি আনন্দ! একসময়ের সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স ফিল্ডিংয়ের সময় তার পেছনে ছিলেন পুরোটা সময়। মোবাইল দিয়ে ছবি তুলছেন মাঝেমধ্যে। সাহস যোগাচ্ছেন কোহলিকে। শেষ পর্যন্ত তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটারের হাতে উঠলো আইপিএল ট্রফি।

২০১৬ সালের পর প্রথমবার ও আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ ফাইনাল খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে বেঙ্গালুরু। তারপর ৭ উইকেটে পাঞ্জাবকে ১৮৪ রানে থামায় তারা। ৬ রানে ফাইনাল জিতে বেঙ্গালুরু হলো প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন।

বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে কোহলিই ছিলেন সেরা। ৩৫ বলে ৩ চারে ৪৩ রান করেন তিনি। আর কেউ ত্রিশের কোটায় পা রাখতে পারেননি। চ্যালেঞ্জ করার মতো তেমন বড় দলীয় ইনিংস ছিল না বেঙ্গালুরুর। ৫ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রান তুলে ভালো শুরু করে পাঞ্জাব। প্রিয়ানশ আরিয়াকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জশ হ্যাজেলউড। জশ ইংলিস ও প্রভসিমরান সিংয়ের ২৯ রানের জুটি ভেঙে বড় ধাক্কা দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। বেঙ্গালুরুর এই স্পিনার তার চার ওভার বোলিংয়ে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ইংলিসের উইকেটও নেন।তার বোলিং শেষে রিকোয়ার্ড রান রেট বেড়ে চাপে পড়ে পাঞ্জাব। মাঝে আগের ম্যাচের হার্ডহিটার শ্রেয়াস আইয়ারকে (১) টিকতে দেননি রোমারিও শেফার্ড।

২০১৪ সালের ফাইনালিস্টরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ১৭তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের জোড়া আঘাতে। আর ফিরতে পারেনি পাঞ্জাব। শশঙ্কা সিং ৩০ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

বেঙ্গালুরুর জয়ে ভুবনেশ্বর ও ক্রুনালের সঙ্গে কার্যকরী অবদান রাখেন যশ দয়াল। তিন ওভার বোলিংয়ে এক উইকেট নেন ১৮ রান খরচায়।

সোনালি ট্রফি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন মঞ্চে উদযাপনে কোহলিদের সঙ্গে ছিলেন ক্রিস গেইল ও ডি ভিলিয়ার্সও।


%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *