রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখতে আহ্বান ইউক্রেনের

তুরস্কে আয়োজিত বৈঠক শেষ হওয়া মাত্রই পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন জোগাড়ে আটঘাট বেঁধে নেমেছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিনিধিরা আলোচনাকে ইতিবাচক বললেও ইউক্রেনীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং অবাস্তব। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তিন বছরের যুদ্ধে এই প্রথম সরাসরি আলোচনায় বসলো দুদেশ। ইউক্রেনের চাওয়া ছিল, অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হোক। তবে আলোচনা সে দিকে মোড় না নেওয়ায় এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে অংশগ্রহণ না করায় নাখোশ হয়েছেন জেলেনস্কি।

তবে উভয় দেশ এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ঘটনাটি।

এদিকে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ইউক্রেনের দাবি, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার ওপর যেন আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

নিজের ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহারসহ কিছু দাবিতে আপত্তি রয়েছে ইউক্রেনের। ইউক্রেনীয় এক প্রতিনিধি জানান, রাশিয়ার বেশ কিছু দাবি গঠনমূলক নয়।

রাশিয়ার অবস্থানকে স্পষ্টভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন বলেন, মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি জানান, জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব যাচাই করছেন। 
রুশ প্রেসিডেন্টের বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিনিধি কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তিনটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল এসেছে। সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় হচ্ছে, কার্যকর সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিকল্প হতে যাচ্ছে এবং আলোচনা অব্যাহত থাকছে।


%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%ac%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b0%e0%a6%be

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *