‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ বাতিল এবং দেশে ‘ব্লাসফেমি আইন’ প্রণয়নের দাবিকে ‘অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। সংগঠনটি বলছে, ধর্মীয় অজুহাত তুলে একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং নারী অধিকারের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব ছড়াচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এইচআরএফবি জানায়, ‘কমিশন’ বা তার প্রতিবেদনের সমালোচনা করা যেকোনও নাগরিকের অধিকার। তবে কমিশন বাতিলের দাবি অযৌক্তিক এবং তা সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।
বিবৃতিতে সই করেছেন ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক; যারা প্রত্যেকেই এইচআরএফবি’র সদস্য। এদের মধ্যে রয়েছেন, ড. হামিদা হোসেন, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাজা দেবাশীষ রায়, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, শাহীন আনাম, জাকির হোসেন, সারা হোসেন, রঞ্জন কর্মকার, সালেহ আহমেদ, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও খুশী কবির প্রমুখ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে যেসব সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছে, ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ তারই ধারাবাহিকতা। কমিশনটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ও নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদের আলোকে সুপারিশমালা প্রণয়ন করে সরকারকে প্রতিবেদন দিয়েছে।
এইচআরএফবি জানায়, প্রতিবেদন জমার পরপরই একটি বিশেষ গোষ্ঠী ‘কমিশন’ বাতিলের দাবি তুলে মাঠে নেমেছে। তারা অতীতের মতো ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে হুমকি, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বলপ্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন অবস্থায় সরকারের নীরবতা ‘হতাশাজনক’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
এইচআরএফবি মনে করে, নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে যেকোনও উদ্যোগের বিপরীতে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক প্রতিক্রিয়া কেবল নারীদেরই নয়, গোটা সমাজের অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সংগঠনটি সব গণতন্ত্রকামী, সমঅধিকারভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া রাজনৈতিক দল ও শক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন এসব অশুভ তৎপরতা প্রতিহত করা হয়। একইসঙ্গে কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের সংকীর্ণ ফায়দা হাসিলের জন্য এমন দাবির প্রতি সহানুভূতি দেখানোর প্রবণতারও নিন্দা জানিয়েছে এইচআরএফবি।
%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf
Leave a Reply