স্যাবাইনা পার্কে বিধ্বংসী এক ওপেনিং স্পেল করলেন মিচেল স্টার্ক। তাতে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১৭৬ রানের লজ্জার হার দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা অলআউট হয়েছে ২৭ রানে। অজিরা সিরিজ নিশ্চিত করেছে ৩-০ ব্যবধানে।
বিধ্বংসী স্পেলে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন স্টার্ক। স্কট বোল্যান্ড করেছেন হ্যাটট্রিক। তাদের গতি ঝড়ে আরেকটু হলেই নিউজিল্যান্ডের করা সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউট হয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৫৫ সালে ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল কিউই দল। এই স্কোরেই পতন হয় ক্যারিবিয়ানদের নবম উইকেট।
দিবা-রাত্রির এই টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হলে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অলআউট হয় ১২১ রানে। ৩০ বছরে যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন! তাতে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৪ রানের।
বল হাতে এই ইনিংসে সেরা ফিগার ছিল আলজারি জোসেফের। ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শামার জোসেফ ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪টি। সিরিজে মোট নিয়েছেন ২২ উইকেট।
তার পর ক্যারিবিয়ানরা ব্যাটিংয়ে নামলে শুরুর দিকেই তাদের ব্যাটিংকে ধ্বংস্তূপে পরিণত করে ছাড়েন স্টার্ক। প্রথম ৫ ওভারে ৬ রানে নিয়ে নেন ৫ উইকেট। তাতে ৭ রানে দলটার স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেট! শেষ পর্যন্ত ৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
নিজের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসটায় ভাগ্যের কোনও সহায়তাই পাননি স্টার্ক। পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুর ওভারেই তুলে নেন জন ক্যাম্পবেল, কেভলন অ্যান্ডারসন ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট। গতির ঝড় তুলে স্টার্ক তৃতীয় ওভারের শুরুতে মিকাইল লুইসকে ফিরিয়ে তুলে নেন নিজের ৪০০তম উইকেট।
স্টার্ক ৫ উইকেট নিতে বল করেছেন মাত্র ১৫টি। টেস্ট ইতিহাসে এত কম বল করেও পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির এটাই প্রথম। তার পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাকি মুহূর্ত নিজের করে নেন বোল্যান্ড। টানা তিন বলে তুলে নেন জাস্টিন গ্রিভস, শামার জোসেফ ও জোমেল ওয়ারিক্যানের উইকেট।
%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc
Leave a Reply