যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর চলমান ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুধা ও অনাহারে মোট ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী-শিশু এবং বৃদ্ধ।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস শনিবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি।
ওই বিবৃতিতে সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারের কারণে শহীদের সংখ্যা ৫৭ জনে পৌঁছেছে এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তার ক্রসিংগুলো অব্যাহতভাবে বন্ধ করে দেওয়া এবং খাদ্য, শিশু সহায়ক, পুষ্টিকর পরিপূরক এবং কয়েক ডজন প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার সকালে একটি চিকিৎসা সূত্র আনাদোলুকে জানায় যে, গাজা শহরের আল-রান্তিসি শিশু হাসপাতালে অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতার কারণে একটি শিশু মারা গেছে।
মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, অনাহারে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার রোগী।
গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে আবারও গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে। এ সময় থেকে উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে দখলদার বাহিনী।
যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরায়েলিদের খাদ্যকে ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। তাদের অভিযোগ, টানা ৬৩তম দিনের জন্য সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে গাজার ২৪ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের উপর শ্বাসরুদ্ধকর অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার মুখে আন্তর্জাতিক নীরবতার নিন্দা জানিয়ে মিডিয়া অফিস বলেছে, বিশ্ব সম্প্রদায়, মানবিক সংস্থা এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে অনেক দেরি হওয়ার আগেই সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং খাদ্য ও ওষুধের জরুরি প্রবেশ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমবিএস
%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a7%ab
Leave a Reply